সন্তান পাওয়ার পর মা-বাবার ওপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব | যা সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে অপরিহার্য
*প্রথমত, সন্তানের একটি অর্থবহ, সুন্দর এবং ইসলামের শিক্ষার আলোকে নাম রাখা।*
নবী করিম (সা.) বলেছেন, “সুন্দর নাম রাখো, কারণ নামের প্রভাব ব্যক্তির জীবনে পড়ে।” ভালো নাম রাখার পাশাপাশি সন্তানের জন্য আকিকা করা সুন্নত। জন্মের সাত, চৌদ্দ, বা একুশ দিনের মধ্যে আকিকা সম্পন্ন করা উত্তম। আকিকার সময় চুল কাটিয়ে সেই চুলের ওজন অনুযায়ী স্বর্ণ বা রূপা সদকা করা এবং আকিকার পশু জবাই করা গুরুত্বপূর্ণ। পুত্র সন্তান হলে দুটি ছাগল এবং কন্যা হলে একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করাই সুন্নত। আকিকা না করলেও, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে স্নেহ ও আদর্শ নাম দিয়ে পরিচিত করা অত্যন্ত জরুরি।
*দ্বিতীয়ত, সন্তানের জন্য দ্বীনি শিক্ষা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করা।*
*দ্বিতীয়ত, সন্তানের জন্য দ্বীনি শিক্ষা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করা।*
কারী তায়্যিবুর রহমান সাহেব উল্লেখ করেন, মা-বাবার প্রধান দায়িত্ব হলো সন্তানকে ইসলামিক জ্ঞান প্রদান করা এবং তার চারিত্রিক উন্নয়ন ঘটানো। এটি শুধু নামাজ, রোজা, ওজু বা গোসল শেখানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তাকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, মানবিকতা, এবং নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া। একদিকে সন্তানকে মসজিদে নিয়ে যাওয়া এবং মক্তব বা কওমি শিক্ষায় যুক্ত করা যেমন জরুরি, অন্যদিকে তার সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমন্বয় করাও মা-বাবার কর্তব্য। সন্তানকে ইসলামের পথ অনুসরণ করানো ছাড়া কেবলমাত্র চাকরি বা উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য অর্জন যথেষ্ট নয়।
*তৃতীয়ত, সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হলে যথাসময়ে তার বিবাহের ব্যবস্থা করা।*
তিনি আরও বলেন, বর্তমান যুগে অনৈতিকতার প্রকোপ থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে বিবাহ দিতে দেরি না করা উচিত। শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম হলে, বিশেষ করে ২০ বা ২৫ বছরের বেশি বয়স হলে, মা-বাবার দায়িত্ব সন্তানকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা। সন্তানকে নিজের স্বপ্নের ভার দিয়ে বিলম্ব না করে, তার সুখী জীবন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যদি সন্তান বিবাহযোগ্য হয়ে যায় এবং মা-বাবা তার প্রতি এ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন, তবে তা তার জীবনে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
এই তিনটি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে সন্তান শুধুমাত্র একজন সুসন্তান নয়, একজন ভালো মানুষ ও নৈতিক মুসলিম হিসেবে গড়ে উঠবে। কারী তায়্যিবুর রহমান সাহেব এই শিক্ষাগুলো অত্যন্ত আন্তরিকভাবে উপস্থাপন করে সবাইকে ইসলামের পথে সন্তানকে পরিচালিত করার আহ্বান জানান। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের তৌফিক দান করুন। আমিন।
এই তিনটি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে সন্তান শুধুমাত্র একজন সুসন্তান নয়, একজন ভালো মানুষ ও নৈতিক মুসলিম হিসেবে গড়ে উঠবে। কারী তায়্যিবুর রহমান সাহেব এই শিক্ষাগুলো অত্যন্ত আন্তরিকভাবে উপস্থাপন করে সবাইকে ইসলামের পথে সন্তানকে পরিচালিত করার আহ্বান জানান। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের তৌফিক দান করুন। আমিন।
0 Comments
আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ